চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥ ভোলার চরফ্যাসনের চেয়ারম্যান বাজারে ব্যাবসায়ীর ঔষধের দোকান দখলের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রতিপক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিকগংরা। গত রোববার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় দোকানটিতে হামলা, লুটপাটের পর জবরদখলের চেষ্টায় দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিলে পরিস্থিতিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ দোকান ঘরটি তাদের জিম্মায় নেয়। ঘটনার একদিন পর গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি তদন্তে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসবেন এমন খবরে দোকান ঘর জবর দখলের চেষ্টাকারী সিদ্দিক গংরা ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার আগেই দোকানের সাটার বক্সে পপুলার মেডিসিন কর্ণার, পোঃ আবুল কালাম মেম্বার, পরিচালনায় জসিম উদ্দিন এবং তাদের মোবাইল নম্বর লেখা সাইন বোর্ডটি সম্পুর্ন রুপে ছিড়ে ফেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাজার ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধ এবং তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা সে চেষ্টা থেকে সরে যান। তবে তারা সাইন বোর্ডটির আংশিক ছিড়ে ফেলেছেন বলে জানাগেছে।
দোকান মালিক মাহাবুব ও জসিম উদ্দিন জানান, চেয়ারম্যান বাজারের সদর রোডে বিরোধীয় জমির ২টি দোকান ভিটার মালিক তাদের বাবা আবুল কালাম মেম্বার। খরিদ সুত্রে মালিক হয়ে প্রায় ৪২ বছর ধরে দোকানঘর নির্মাণ করে আবুল কালাম মেম্বার ভোগ দখলে আছেন। যার ধারাবাহিকতায় আবুল কালাম মেম্বারের ছেলে মাহাবুব এবং জসিম উদ্দিন ওই ২টি ভিটায় পপুলার মেডিসিন কর্নার এবং বাবুল মেডিকেল নামে দু’টি দোকান পরিচালনা করে আসছেন। সম্প্রতি প্রতিপক্ষ সিদ্দিকগংরা ওই দোকান ভিটার মালিকানা দাবী করলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। যার প্রেক্ষিতে আবুল কালাম মেম্বার চরফ্যাসন সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত ওই মামলায় প্রতিপক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিকগংদের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। আবু বক্কর সিদ্দিকগংরা বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশ উপেক্ষা করে রোববার সকালে দোকানঘরটি জবর দখলের চেষ্টা করেন। এসময় হামলাকারীরা বর্হিরাগত ৫০/৬০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসীকে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত সিদ্দিক দোকান ঘর ২টি জবর দখলের চেষ্টা করেন। এসময় দোকানের মালিক মাহাবুব ও জসিমরা বাধাঁ দিলে তাদের মারধর করে দোকান থেকে বের করে ক্যাশের টাকা ও দোকানের মালামাল লুুট করা হয়। খবর পেয়ে দোকান মালিকপক্ষের স্ত্রী-সন্তানরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, আবুল কালাম মেম্বার দীর্ঘ প্রায় ৪২বছর পপুলার মেডিসিন কর্ণার নামের এই দোকানে ব্যবসা পরিচালনার পর তার দুই ছেলে মাহাবুব ও জসিম ব্যবসা করছেন। যারা এখন দোকানটি দখলের চেষ্টা করছেন তাদের যদি মালিকানা থেকেও থাকে তবে আইনী ভাবে আসতে পারতেন। এভাবে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে,মালামাল লুটকরে দখলের চেষ্টায় আমরা হতবাক হয়েছি। অভিযুক্ত সিদ্দিক জানান, আমাদের ভগ্নিপতি আবুল কালাম মেম্বারের ছেলেরা অন্যায়ভাবে আমাদের দোকান ভিটা ভোগ দখলে আছেন। আমাদের বাবা আশ্রাফ আলীর ওয়ারিশ হিসেবে আমরা ছেলেরা আমাদের ন্যায্য হিস্যা দাবী করছি।
শশীভূষণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, জবর দখলকারীদের দোকান থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে আপাদতঃ দোকানঘরটি পুলিশের জিম্মায় নেয়া হয়েছে। মালিকানা দাবীর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply